Skip to content

Just Transition Bangladesh

টেকসই উন্নয়ন বলতে এমন একটি জীবনযাপনকে বোঝায় যা বর্তমানের প্রয়োজন মেটায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে না এবং একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে। একটি সমাজের কল্যাণ এবং আমাদের সুস্থতা টেকসই উন্নয়নকে লালন করার উপর নির্ভর করে।

টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে একসাথে তিনটি ক্ষেত্রের মধ্যে কার্যকর ভারসাম্য প্রয়োজন:
ক) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
খ) সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং
গ) পরিবেশ সংরক্ষণ।

এই তিনটি ক্ষেত্রের যেকোনো একটি বা দুটি ব্যর্থ হলে, পুরো প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সাময়িকভাবে দ্রুত একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটতে পারে, তবে ব্যাপক দারিদ্য বিদ্যমান থাকলে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষিত হলে এটি প্রবৃদ্ধি কখনোই টেকসই হতে পারে না।

একটি টেকসই উন্নয়ন ধারণায়, সবাই শোভন কর্মসংস্থান, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুবিধা উপভোগ করে। এই উন্নয়ন প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিবেশ দূষণ এড়ানোর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিচালিত হয়। টেকসই উন্নয়নে সরকারি নীতিমালা এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে কেউ বৈষম্যের শিকার না হয় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক-সমতা নিশ্চিত করে।

আমাদের করণীয়

টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বকে ব্যবহারিকভাবে বুঝতে হলে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদিও বৈশ্বিক গড় আয়ু এবং অনেক মানুষের গড় আয় বেড়েছে। কিন্তু অধিকাংশ উন্নয়নই টেকসই নয়। বরং উন্নয়নের নামে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশের বিপর্যয়, সংঘাত, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বেকারত্ব ও সামাজিক বৈষম্যের মতো কার্যক্রলাপ বেড়েছে। যখন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন সাধন করতে চায়, তখন তা টেকসই হয় না। স্বল্পমেয়াদী সুবিধাগুলি দীর্ঘমেয়াদী খরচ দ্বারা ম্লান হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, সাময়িক লাভের জন্য একটি সম্পূর্ণ বন উজাড় করা হলে তা পরিবেশের বিপর্যয়, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সংকটাপন্ন করে তোলে। 

ইতিমধ্যে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলেও সবকিছু সঠিক করার সুযোগ রয়েছে। টেকসই উন্নয়নের অনুশীলন অবিলম্বে গ্রহণ করে আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি যেখানে আমাদের প্রজন্ম নিরাপদে একটি সুস্থ পরিবেশে বসবাস করতে পারে।

দায়িত্ব কাদের?

টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন শুধুমাত্র বৈশ্বিক নেতাদের দায়িত্ব নয়। একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভূক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিটি ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের অবস্থান যাই হোক না কেন, প্রত্যেককেই একটি ভূমিকা পালন করতে হবে। সুতরাং, প্রথম পদক্ষেপটি ব্যক্তিগত স্তর থেকে আসতে হবে। সরকার টেকসই উন্নয়নকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নীতিমালা তৈরি করবে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই অর্থায়ন করবে এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।

Scroll to Top