না, জাস্ট ট্রানজিশন বাস্তবায়নের জন্য এমন কোনো সাধারণ নীতি নেই যা একসাথে সব খাতে প্রযোজ্য হতে পারে। জাস্ট ট্রানজিশনের নীতিমালা বিভিন্ন খাতের জন্য আলাদা আলাদা হবে এবং এটি দেশ ভেদেও পরিবর্তিত হতে পারে। জাস্ট ট্রানজিশনের নীতি সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক খাতের আকার, উন্নয়নের পর্যায় এবং দেশের অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা উচিত।
এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে জাস্ট ট্রানজিশন বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল হবে। তবে, এর ফলে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সুফল ছাড়িয়ে যাবে। তাই এতে বিনিয়োগ করতে আমাদের দ্বিধা করা উচিত নয়। তবে শিল্পোন্নত দেশগুলোকেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাস্ট ট্রানজিশন এখনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাস্তবায়ন করা উচিত।
জাস্ট ট্রানজিশন বাস্তবায়নের দায়িত্ব শুধু কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নয়, বরং এটি সবার দায়িত্ব।
জাস্ট ট্রানজিশন বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাস্ট ট্রানজিশন প্রক্রিয়া, ওয়ার্ল্ড বেঞ্চমার্কিং অ্যালায়েন্স, ক্লাইমেট অ্যাকশন ফর জবস (CA4J) উদ্যোগ ইত্যাদি বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ। এর মধ্যে CA4J উদ্যোগটি আইএলও-এর নেতৃত্বাধীন একটি বহু-পক্ষীয় জোট। এটি জাস্ট ট্রানজিশন নিয়ে জাতীয় নীতি এবং কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করে। একই সাথে টেকসই পদক্ষেপ, সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জলবায়ু কার্যক্রম এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে উন্নতিতে কাজ করছে।
২০১৯ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু কর্ম শীর্ষ সম্মেলনে ৪৬টি দেশ একটি জাস্ট ট্রানজিশন কৌশল প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অন্যান্য দেশ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আমাদের কার্যক্রম
আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করতে নীতি প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করি। এই লক্ষ্যে পূরণে আমরা শ্রমিকদের জন্য লবিং, জনসচেতনতামূলক প্রচারণা এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করি। এছাড়াও, আমরা সামাজিক সংলাপ এবং গবেষণা পরিচালনা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য অটোমেশন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলির ওপর নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা, যাতে তাদের জন্য জাস্ট ট্রানজিশন নীতিমালা তৈরি করা যায়।
